কেশবপুরে ৯৯৯ এ কল দিয়ে বসতভিটা রক্ষা করলেন কৃষক

প্রকাশিত: ১০:০১ অপরাহ্ণ, জুন ২৭, ২০২১ | আপডেট: ১০:০১:অপরাহ্ণ, জুন ২৭, ২০২১
যশোরের কেশবপুরে পুলিশের জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বারে কল দিয়ে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বসতভিটা রক্ষা করলেন কৃষক তজিবর রহমান দফাদার । খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক কেশবপুর থানার উপপরিদর্শক পিন্টু লাল দাস সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা পৌর শহরের এক প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির নির্দেশে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ভুক্ত ভোগীরা জানান । 
 
জানা গেছে, কৃষক তজিবুর রহমান দফাদার  কেশবপুর পৌর শহরের ভোগতি নরেন্দ্রপুর সাবেক ২৬৬৯ দাগের ৪ শতক জমি ২০০৬ সালে কবলা দলিল মূলে ক্রয় করে বসবাস করে আসছেন। পাশের একটি জমি ক্রয় করেন মশিয়ার রহমান খাঁ নামের এক ব্যক্তি। মশিয়ারের বাড়ি থেকে বের হবার রাস্তা না থাকায় পৌর এলাকার একজন জনপ্রতিনিধির ছত্রছায়ায় থাকা সন্ত্রসাীদের ভাড়া করে তজিবুর রহমানের নির্মিত ঘর ভেঙ্গে রাস্তা নির্মানের চেষ্টা করে। নিরুপায় হয়ে তজিবুর রহমানের ভাইয়ের ছেলে পুলিশের জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বারে কল দেয়। খবর পেয়েই তাৎক্ষনিক কেশবপুর থানার উপপরিদর্শক পিন্টু লাল দাস ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। 
 
সরেজমিনে তজিবুর রহমান দফাদার বলেন, ওই জমি ক্রয় করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছি। তাদের রাস্তা প্রয়োজন সেটা কখনো আমাদের বলেনি। হঠাৎ করে শনিবার বিকেলে একদল যুবক পৌরসভার স্টাফ পরিচয় দিয়ে এখানে আসেন। পৌরসভার অনুমোদন না নিয়ে ঘর নির্মান করা হয়েছে এ অভিযোগ তুলে ঘর ভেঙ্গে নিতে বলে এবং তারা লোহার রড ও বাশের লাঠি দিয়ে ঘর ভাঙ্গা শুরু করে। পৌরসভার মেয়রের নির্দেশে তারা এসেছে বলে জানায়। পরবর্তীতে পুলিশ আসলে সাথে সাথে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। 
 
তজিবুর রহমানের স্ত্রী হালিমা খাতুন বলেন, পৌরসভার মেয়রের লোক পরিচয় দিয়ে একদল সন্ত্রাসী এখানে এসে আমাদের বাড়ি ভাংচুর শুরু করে। এলাকাবাসী ও পুলিশ চলে আসায় সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। 
 
তজিবুর রহমানের ভাইপো তানভির হাসান মুন্না বলেন, আমার চাচা টিনের ছাউনি দিয়ে ঘর নির্মান করে গো-খাদ্য রাখছেন দীর্ঘদিন ধরে। শনিবার পৌরসভার কর্মচারী হাবিবসহ একদল যুবক সন্ত্রাসী স্টাইলে এখানে এসে ঘর ভেঙ্গে নিতে বলে। ঘর ভাঙ্গতে অপারগতা প্রকাশ করায় তারা নিজেরাই লোহার রড দিয়ে ঘর ভাঙ্গা  শুরু করে। এ সময় আমি পুলিশের জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বারে কল করি । সাথে সাথে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। 
 
এ বিষয়ে মশিয়ার রহমান খাঁ বলেন, ওই জমির মধ্যে আমার কিছু জমি রয়েছে। আমার বাড়ি থেকে বের হবার রাস্তা না থাকায় ওই জমিতে রাস্তার জন্য পৌরসভায় মেয়রের কাছে বলা হয়েছে। খবর পেয়ে ওই জমিতে তারা ঘর নির্মান করায় পৌরসভার লোকজন সেটি বন্ধ করে দিতে এসেছিল।
 
অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেশবপুর পৌরসভার মেয়রের নির্দেশে কাজ বন্ধ করার জন্য ওই খানে গিয়েছিলেন বলে কর্মচারী হাবিবুর রহমান  জানান। তবে কোন যুবক বা সন্ত্রাসীদের বিষয়ে তিনি অস্বীকার করেন।
 
কেশবপুর থানার উপপরিদর্শক পিন্টু লাল দাস বলেন, পুলিশের জরুরী সেবা থেকে নির্দেশনা পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে। উভয় পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় হাজির হতে বলা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :

মশিয়ার রহমান। নিজস্ব প্রতিবেদক। কেশবপুর, যশোর