চুকনগরে আপার ভদ্রা নদীতে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন

প্রকাশিত: ১১:২১ অপরাহ্ণ, মার্চ ৬, ২০২১ | আপডেট: ১১:২১:অপরাহ্ণ, মার্চ ৬, ২০২১

চুকনগরে আপার ভদ্রা নদীতে অবৈধভাবে ম্যাশিন লাগিয়ে বালি উত্তোলনের মহা উৎসব চলছে। বর্তমানে নদীতে প্রায় ৮/১০ ম্যাশিন লাগিয়ে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। এভাবে একের পর এক নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে বিক্রয় করা হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। নদীর দুই পাশ ভেঙে পড়ছে। আর যে লোক গুলো বালি উত্তোলন করছে এরা সবাই কেশবপুর উপজেলার লোক। এভাক্ষে কেশবপুর উপজেলা হতে ডুমুরিয়া উপজেলার সীমানায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে নিয়ে যাচেছ তারা। ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে বা নদী ভাঙনের কবলে পড়ছে ডুমুরিয়া উপজেলার মানুষ।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চুকনগরের উত্তর চাকুন্দিয়া গ্রামের পিছনে ভদ্রা নদীতে ম্যাশিন প্রায় দেড় মাস ধরে ম্যাশিন লাগিয়ে ধারাবাহিকভাবে বালি উত্তোলন করছে কেশবপুর উপজেলার ভরত ভায়না গ্রামের সামছুর রহমান মোড়লের পুত্র আমির হামজা এন্টার প্রাইজের মালিক মোঃ ইকবাল হোসাইন নামে এক অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি গত দেড় মাসে প্রায় ৪/৫লক্ষ টাকা বালি নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করে রাস্তায় বিক্রয় করছে। এদিকে উপজেলার রোস্তমপুর গ্রামের পাশে তিনটি ম্যাশিন লাগিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করছে কেশবপুর উপজেলার শন্যাসগাছা গ্রামের পীর আলী ফকিরের পুত্র জুলফিক্কার আলী ফকির। তিনি এলাকার বহুল আলোচিত বালি ব্যবসায়ী ও দীর্ঘদিন ধরে কর্তৃপক্ষের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এভাবে ক্ষালি উত্তোলন করে চলেছে। তিনি বর্তমানে রোস্তমপুর গ্রামের শাহাজান নামে এক ব্যক্তির পুকুর ভরাটের জন্য ১লক্ষ ৩০হাজার টাকা চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। বালি উত্তোলন করছে পুরোদমে।

এছাড়া তিনি রোস্তমপুর গ্রামের বুড়লিয়া ব্রীজের মাথায় আরও দুটি ম্যাশিন লাগিয়ে বালি উত্তোলন করছে। একই স্থানে কেশবপুর উপজেলার ভরত ভায়না গ্রামের টিটু নামে এক ব্যক্তি হাশেম্ আলী ফকিরের জমি ভটার করছে। মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের বেতাগ্রামে ২টি ম্যাশিন লাগিয়ে পুকুর থেকে বালি উত্তোলন করছে। তবে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ঠিক যে যে স্থানে ম্যাশিন লাগিয়ে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে সেই সেই স্থান হতে নদীর দুই পাশ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।

 

এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডঃ প্রতাপ কুমার রায় বলেন, আমরা নদী থেকে বালি উত্তোলন করে শাহাজানের পুকুরটি ভরাট করছি। কারণ ঐ স্থানের রাস্তাটি ভেঙে পুকুরে পড়ায় এলাকার সাধারণ মানুষের রাস্তা চলাচল একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাই মূলত্র রাস্তাটি সংস্কারের জন্যই আমরা পুকুরটি ভরাট করছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, নদী থেকে বালি দন্ডনীয় অপরাধ। যদি কেউ নদী থেকে অবৈধভাবে ক্ষালি উত্তোলন করে তা হলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা মামলা করব।


আপনার মতামত লিখুন :

গাজী আব্দুল কুদ্দুস। নিজস্ব প্রতিবেদক। চুকনগর, খুলনা