পাইকগাছায় দুগ্ধ খামার কাজে বাঁধা প্রদান ও হয়রানীর অভিযোগ প্রকাশিত: ১২:৪১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০২০ | আপডেট: ১২:৪১:অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০২০ পাইকগাছার হরিণখোলায় নিজের ভোগ দখলীয় সম্পত্তির ওপর দুগ্ধ খামার গড়ে তুলছেন শফিকুল ইসলাম খান। পাইকগাছার দেলুটির হরিণখোলায় নিজের ভোগ দখলীয় সম্পত্তিতে দুগ্ধ খামার করার পরিকল্পনা নিয়েছেন সম্পত্তির মালিক শফিকুল ইসলাম খান। তিনি পিতা আকবর খানের নামেই দুগ্ধ খামার করার কাজ শুরু করেছেন। কিন্তু শফিকুল ইসলামের এই কাজে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছেন এলাকার একটি পরিবার। বিজলী-স্বপন দম্পত্তি নামে পরিবারটি শফিকুল ইসলামের ১৫ শতক জমির ওপর জোরপূর্বক অবৈধভাবে বসবাস করছেন। পাশাপাশি অসংখ্য মামলা এবং নানা ধরণের হুমকি দিয়ে শফিকুল ইসলামকে হয়রানী করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শফিকুল ইসলাম ও তার পরিবার। সরেজমিন গিয়ে প্রাপ্ত অভিযোগে জানাগেছে, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার শেখপাড়া গ্রামের আকবর খানের ছেলে শফিকুল ইসলাম খান পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের হরিণখোলা মৌজায় ১২৬ বিআরএস খতিয়ানে ১০২৩, ২৪, ২৫, ৫৩ ও ৫৬ দাগে ৪.৯৩ একর সম্পত্তি ২০১৭ সাল থেকে ভোগ দখল করে আসছে। উক্ত সম্পত্তি বটিয়াঘাটা উপজেলার বসুরাবাদ গ্রামের পঞ্চানন মন্ডলের ছেলে নারায়ণ চন্দ্র ও নারায়ণ চন্দ্রের স্ত্রী শেফালী রানীর নিকট থেকে শফিকুল ইসলাম ৩৫৮১/১৯ নং পাওয়ার অব অ্যাটর্নি রেজি: দলিল মূলে প্রাপ্ত হন। শফিকুল ইসলাম নালিশী সম্পত্তির ওপর দুগ্ধ খামার করার লক্ষে ইতোমধ্যে বালু দিয়ে নীচু জমি ভরাট করা সহ অন্যান্য কাজ শুরু করেছেন। বর্তমানে নালিশী জমিতে শফিকুল ইসলামের ধান্য ফসল, বাঁধের ওপর, সরিষা ও সবজি ফসল এবং পুকুরে মাছ রয়েছে। এদিকে ভোগ দখলীয় সম্পত্তিতে শফিকুল ইসলামের শান্তিপূর্ণ অবস্থান ও দুগ্ধ খামারের কাজ করতে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছেন হরিণখোলা গ্রামের স্বপন রায় ও তার স্ত্রী বিজলী রায়। পরিবারটি একদিকে শফিকুল ইসলামের ১৫ শতক জমির ওপর জোরপূর্বক অবৈধভাবে বসবাস করছে, অপরদিকে নানাভাবে শফিকুল ইসলামকে হয়রানী করছে বলে সরেজমিন গেলে শফিকুল ইসলাম সহ এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। এলাকার নিরাপদ সরকার জানান, শফিকুল ইসলামের নালিশী সম্পত্তির মধ্যে বিজলী ও স্বপন রায় পরিবারের ১ ইঞ্চিও জমি নাই। সন্ধ্যা রানী বাছাড় জানান, বিজলী পরিবারের জন্য আমরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। আমাদের ছেলেরা কোথাও বেড়াতে গেলেও মামলা থেকে রক্ষা পায় না। শফিকুল ইসলাম বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী আদালত সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মামলা এবং অভিযোগ দিয়ে নানাভাবে আমাকে হয়রানী করছে। এছাড়া লোকজন এনে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করছে। সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩২৬ বার আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন শিক্ষা সফরে যেতে না দেয়ায় পাইকগাছায় স্কুল ছাত্রের আত্মহত্যা! পাইকগাছার ৬ ইট ভাটাকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা জরিমানা