আশাশুনির রামদেবকাটির ভূমিহীন বিধবা পুস্পরানী সরকারি গৃহ পাওয়ার আকুতি

প্রকাশিত: ৯:১৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০২০ | আপডেট: ৯:১৪:অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০২০
বুধহাটা রামদেবকাটির ভূমিহীন বিধবা পুস্পরানী মৃত স্বামীর বানানো দুর্বল ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।

আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের রামদেবকাটি গ্রামের ভূমিহীন বিধবা পুস্পরানী সরকারি গৃহ পেতে আকুতি জানিয়েছেন।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

রামদেবকাটি গ্রামের মৃত ফটিক চন্দ্র দাশ পাগল প্রকৃতির ছিলেন। স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে অতিকষ্টে জীবন যাপন করেছেন। সম্বল বলতে ছিল তাদের এক টুকরো (৪ শতক) বসবাসের জমি। স্বামী-স্ত্রী মিলে অন্যের বাড়িতে জন মজুর খেটে কোন রকমে খোলা (টালি) দিয়ে ছাউনি একটি মাটির ঘর করেছিলেন। ৮ বছর আগে ফটিক মারা যায়। সেই থেকে ছোট্ট একটি হাবলা প্রকৃতির পুত্র ও এক কন্যাকে নিয়ে সংসারের ঘানি টানতে টানতে হিমশিম খেয়ে আসছে বিধবা পুস্পরানী। মেয়েটিকে অর্থ ভিক্ষা ও ঋণ করে বিয়ে পিঁড়িতে বসিয়েছে। ছেলেটি তেমন ভাল কাজ করতে না পারায় কর্মহীন থেকে এসেছে।

বর্তমানে মাছের সেটে কম মজুরির শ্রমিক হিসাবে কাজ করছে। অন্যের বাড়িতে ও ক্ষেতে শ্রমিকের কাজ করে পুস্পরানী সংসারের খরচ মিটাতে হিমশিম খাচ্ছে, তাই স্বামীর বেধে যাওয়া ঘরটি আর মেরামত করতে পারেনি। ঘরের মাটির দেওয়াল দুর্বল, খুটির অবস্থাও শোচনীয়। খোলার ভার সইতে না পারা চালের বাঁশের ফ্রেম অনেক স্থানে বসে গেছে। বৃষ্টির সময় ঘরের মধ্যে পানি ঢোকে।

বিভিন্ন স্থানে খুঁটি দিয়ে পেলা দিয়ে ঘরটি টিকিয়ে রাখা হলেও ঝড়-বর্ষার দিনে যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে। ভূমিহীন, বিধবা পুস্পরানীকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার একটি গৃহ নির্মানের ব্যবস্থা করার আকুল আকুতি জানানো হয়েছে। মাননীয় জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের সুনজর কামনা করেছেন পুস্পরানী দাশ।


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক। ডেক্স