স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করা হবে: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

প্রকাশিত: ৭:৩৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৯, ২০২০ | আপডেট: ৭:৩৭:অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৯, ২০২০

আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করবে সরকার। পাশাপাশি তালিকা করে সব মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থান ও বধ্যভূমি সংরক্ষণ করা হবে। বুধবার ০৯ ডিসেম্বর দুপুরে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অনেকেই নকল গেজেট ছাপিয়ে অথবা বিভিন্ন স্থান থেকে তালিকাভুক্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভাতা সুবিধা নিচ্ছেন। তালিকা প্রণয়ন সম্পন্ন হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

বীরাঙ্গনাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনি বলেন, বীরাঙ্গনাদের তালিকা করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। কিন্তু সামাজিক প্রতিবন্ধীতার কারণে পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে তালিকা তৈরির কাজ অব্যাহত আছে। তালিকা ভুক্ত হওয়ার জন্য তিনি বীরাঙ্গনাদের প্রতি আহ্বান জানান। ৩০ লাখ শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখনো পর্যন্ত তালিকা করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। যোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করার পরই ৩০ লাখ শহীদের তালিকা প্রণয়ন করার কাজে হাত দেবে সরকার।

 

বর্তমান শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সারাদেশের ন্যায় কপিলমুনি যুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। কপিলমুনিতে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পে ইতোমধ্যে ২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেখানে আধুনিক মিলনায়তন, পাঠাগার ও পর্যটনের সু-ব্যবস্থার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বীরঙ্গনা গুরুদাসি মাসির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির গেজেট প্রকাশ করা হবে। এছাড়াও কপিলমুনি হাসপাতালের আধুনিকায়ন, কপিলমুনিকে পৌরসভায় উন্নীতকরণ ও সড়ক সংস্কারসহ মহাত্মা রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু প্রতিষ্ঠিত কপিলমুনির ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আশ্বাস দেন মন্ত্রী।

 

বুধবার কপিলমুনি সহচরী বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে বিকাল ৪.৩০ মিনিটে কপিলমুনি মুক্ত দিবসের আলোচনা সভা খুলনা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাদিকুর রহমানের সভাপত্বিতে ও সুন্দরবন উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জাতীয় দৈনিক কালের কন্ঠের স্টাফ রিপোর্টার নিখিল ভদ্র ও পাইকগাছা উপজেলা আঃলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, খুলনা-৬, পাইকগাছা-কয়রা আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু, জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব তপন কান্তি ঘোষ, পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী, সহকারী কমিশনার ভূমি এসিল্যান্ড আরাফাতুল আলম, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, থানা অফিসার ইনচার্জ এজাজ শফী, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, খুলনা জেলা পরিষদ সদস্য শেখ কামরুল হাসান টিপু, কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়ার্দ্দার, অধ্যক্ষ হাবিবুল্ল্যাহ বাহার, প্রধান শিক্ষক কবির আহমেদ, রহিমা আক্তার শম্পা প্রমুখ। এছাড়া মন্ত্রী কপিলমুনি বধ্যভূমিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স ও জাদুঘরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে পার্শ্ববর্তী মাহমুদকাটি অনির্বাণ লাইব্রেরি পরিদর্শন করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

আমিনুল ইসলাম বজলু। নিজস্ব প্রতিবেদক। পাইকগাছা, খুলনা