কেশবপুরে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে ঘর নির্মাণের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ৫:২৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১, ২০২০ | আপডেট: ৫:৪৪:অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১, ২০২০
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন শাহীনুর রহমান।
যশোরের কেশবপুর পৌর এলাকার বায়সা মৌজায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে অন্যের জমিতে অবৈধ ঘর নির্মাণ বন্ধের দাবিতে মঙ্গলবার কেশবপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৌর এলাকার বায়সার মোহাম্মদ গাজীর ছেলে শাহীনুর রহমান সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। 
 
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিবাদি আবব্দুল মাজিদেও ছেলে টিপু সুলতান বায়সা মৌজার ৯৪৯, ৯৫০ ও ৯৫১ দাগের ৪৪ শতকের মধ্যে ক্রয়সূত্রে ৫ শতক জমির মালিক। কিন্তু জমি বিক্রেতারা তাকে দখল বুঝে দেয় ৯৫২ দাগের জমি। এ সময় সে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চাকুরিজীবী পরিচয় দিয়ে গায়ের জোরে ওই জমির দখল নিয়ে বাড়ি নির্মাণ শুরু করে। যে জমিতে আদালতে রেকর্ড সংশোধনী মামলা চলমান রয়েছে।
 
একারণে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর আমার পিতা মোহাম্মদ আলী গাজীগং বাদি হয়ে বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ আদালতে ২০ জনকে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৭৫/১৯। এ মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আদালত বিরোধ নিরসন না হওয়া পর্যন্ত বিরোধী পক্ষের ওই জমিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেয়। কিন্তু আদালতের এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলতি বছরের ২২ অক্টোবর থেকে টিপু সুলতান প্রভাব খাটিয়ে বিরোধী জমিতে ঘর নির্মাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বিবাদি টিপু সুলতান প্রভাবশালী হওয়ায় আদালত থেকে এ মামলা তুলে নেয়ার জন্যে আমার পরিবারকে একের পর এক হুমকি-ধামকি দিচ্ছে।
 
তিনি অভিযোগ করেন, শুধু তাই নয় বিবাদি টিপু সুলতান আমার পরিবারকে হয়রানি করতে আদালতে ১৪৪ ও ৭ ধারায় মামলাসহ থানায় মিথ্যা ডায়েরী করেছে। যার সত্যতা না মেলায় আদালত খারিজ করে দিয়েছে। এরপরও তারা গত ২৯ নভেম্বর ভূয়া তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আমার পরিবারকে হেয় করেছে। আমরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম, সালাম গাজী, আকবার সরদার প্রমুখ।  
 
এ ব্যাপারে টিপু সুলতান বলেন, আমি ক্রয়সূত্রে ওই জমির মালিক। বিক্রেতা আব্দুল করিম যেখানে দখল বুঝে দিয়েছে, সেখানেই ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞার কোন কাগজপত্র তিনি পাননি বলে দাবি করেন।

আপনার মতামত লিখুন :

মশিয়ার রহমান। নিজস্ব প্রতিবেদক। কেশবপুর, যশোর