কেশবপুরের ভেরচি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৪ বছর ধরে শ্রেণিকক্ষ সংকটে শিক্ষার্থীরা প্রকাশিত: ৫:১১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১, ২০২০ | আপডেট: ৫:১১:অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১, ২০২০ কেশবপুরের ভেরচি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। যশোরের কেশবপুরে নতুন ভবন না হওয়ায় দীর্ঘ ৩৪ বছর ধরে শ্রেণিকক্ষ সংকটে ঐতিহ্যবাহী ভেরচি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এরপরও গত এপ্রিলে ওই বিদ্যালয়ের ভবনের সমস্ত টিন আম্ফান ঝড়ে উড়ে যায়। এসময় প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করা হলেও রাজনৈতিক রশি টানাটানির কারণে মেলেনি অর্থ। অবশেষে গত অক্টোবরে শিক্ষকদের বেতনের টাকায় চলে এর নির্মাণ কাজ। জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে কেশবপুর উপজেলর ভেরচি বাজারের পাশে ১ একর ১৩ শতক জমির ওপর ভেরচি মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। শিক্ষক কর্মচারী রয়েছেন ১৬ জন। বিদ্যালয়টিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। ১০টি শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজন থাকলেও ১৯৯০ সালে সরকারিভাবে ৩ রুম বিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়। এতে সংকুলান না হওয়ায় ওই সময় শিক্ষকদের বেতনের টাকায় ৬ রুম বিশিষ্ট আরও একটি টিনসেড ভবন নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে অতিকষ্টে চলতে থাকে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। এদিকে, দীর্ঘদিনে বিদ্যালয়ের টিনসেড ভবনটি সংস্কার না হওয়ায় এর দরজা জানালা ভেঙে নষ্ট হয়ে গেছে। শ্রেণিকক্ষের শিক্ষকদের ব্যবহারের চেয়ার, টেবিলও জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রতিষ্ঠানটি কলাগাছি ভায়া চুকনগর সড়কের পাশে অবস্থিত। সীমানা প্রাচীর থাকলেও নেই কোন গেট। ফলে প্রতিষ্ঠানটি সব সময় থাকে অরক্ষিত। বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী পারভেজ, ঐশী ঘোষ জানায়, গত বছর থেকে ভেরচি পুলিশ ফাঁড়ির পুণঃনির্মাণ কাজ শরু হয়। এসময় পুলিশ সদস্যরা তাদের থাকার জন্যে বিদ্যালয়ের ২টি শ্রেণিকক্ষ নিয়ে নেয়। ফলে শ্রেণীকক্ষ সংকটের ভেতর দিয়ে তাদের পাঠদান করাতে গিয়ে স্যারদের হিমশিম খেতে হয়ে। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক রমেশ চন্দ্র পাল বলেন, তার বিদ্যালয়টির সমস্যার কথা বলে শেষ করা যাবে না। এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন এর একটি সরকারি ভবন। নতুন ভবন চেয়ে আবেদন দেয়া হয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। রাজনৈতিক রশি টানাটানির কারণে আজও ভবন সমস্যার সমাধান হয়নি। ঊপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলাম বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানের কথা আমার অজানা নয়। বর্তমান সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিকে ঝুঁকে গেছে। কেশবপুরে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যে নতুন ভবন হয়েছে। অতিদ্রুত ওই সব প্রতিষ্ঠানের ভবন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সংবাদটি পড়া হয়েছে ১৮৪ বার আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন আজ মধু কবির ১৯৯তম জন্মবার্ষিকী, সাগরদাঁড়িতে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা শুরু কেশবপুরে মৎস্য চাষীরা পেল মাছের পোনা খাদ্যসহ বিভিন্ন উপকরণ