কেশবপুরে বখাটের অত্যাচারে দুই শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বন্ধের উপক্রম

প্রকাশিত: ৫:৩০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০২০ | আপডেট: ৫:৩০:অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০২০

যশোরের কেশবপুরে বখাটের অত্যাচারে দুই স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে তাদের পিতা আনন্দ দাস ১৬ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি অভিযোগটির তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মজিদপুর গ্রামের আনন্দ দাস পেশায় একজন দরিদ্র ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের ব্যবসায়ী। কষ্টের মাঝেও সে দুটি কন্যা সন্তানকে লেখাপড়া শেখাচ্ছেন। তার বড় মেয়ে নবম শ্রেণি ও ছোট মেয়ে ৪র্থ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। তার একই পাড়ার নির্মল দাসের ছেলে বখাটে বাবলা দাস ওরফে তুষার (২১) ও কার্তিক দাসের ছেলে চঞ্চল দাস (১৮) দীর্ঘদিন ধরে তাদের স্কুলে, কোচিং এ যাওয়া আসার সময় রাস্তাঘাটে উত্যক্ত করাসহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল।

 

তারা রাজি না হওয়ায় বখাটেরা অপহরণের হুমকিসহ ভয়ভীতি দিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ নভেম্বর রাতে তারা কৌশলে মেয়ে দু’টির শয়ন কক্ষে ঢুকে গভীর রাতে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তার ছোট কন্যার মুখ ও গলা চেপে ধরে অপহরণের চেষ্টা করে।

 

এ সময় তার ডাক চিৎকারে বাড়ির অন্য লোকজন ছুটে আসলে তারা পালিয়ে যায়। আহত ওই ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর ওই দুই শিক্ষার্থীর পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। এর প্রতিকার চেয়ে নির্যাতিত ছাত্রীদের পিতা আনন্দ দাস বাদি হয়ে ১৬ নভেম্বর বখাটে বাবলা দাস ওরফে তুষার (২১) ও চঞ্চল দাসকে অভিযুক্ত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। এ ঘটনার পর ওই বখাটেরা গা ঢাকা দিয়েছে।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান পপি বলেন, অভিযোগ পেয়েই তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কেশবপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জসিম উদ্দীন জানান, অভিযোগটি পেয়েছি। বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বখাটেরা পলাতক রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

মশিয়ার রহমান। নিজস্ব প্রতিবেদক। কেশবপুর, যশোর