ফ্রান্সে মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে মোংলায় বিক্ষোভ সমাবেশ প্রকাশিত: ৯:০৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১, ২০২০ | আপডেট: ৯:০৭:অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১, ২০২০ ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে ব্যাঙ্গচিত্র প্রর্দশনের প্রতিবাদে মোংলায় ইমাম পরিষদের উদ্যেগে হাজার হাজার নবী প্রেমিক মুসলিম তৌহিদী জনতা প্রতিবাদ মিছিল, বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। রবিবার (১ নভেম্বর) আসরের নামাজের পর চৌধুরীর মোড়ে বিশাল মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে পৌর শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে মিছিল সহকারে এসে চৌধুরীর মোড় প্রাঙ্গনে জড় হয় কয়েক হাজার মুসল্লী। বিশাল জনসমুদ্রে পরিনত হয় শেখ আব্দুল হাই সড়ক, তাজমহল রোড়, কমিশনার সফিউল্লাহ সড়ক, মামার ঘাটসহ আশপাশের এলাকা। এসময় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রো’র কুশপুত্তলিকা দাহ করে বিক্ষোভকারীরা। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মোংলা ইমাম পরিষদের নেতা মাওলানা তৈয়েবুর রহমান, মাওলানা রেজাউল করিম, মাওলানা আব্দুর রহমান, মাওলানা জাহিদুল ইসলাম ও মাওলানা আবু হানিফ প্রমূখ। প্রতিবাদ সমাবেশে ইমাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন, ফ্রান্স সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে পুলিশ পাহারায় মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করে বিশ্ব মুসলিমের কলিজায় আঘাত হেনেছে। নবীজির অবমাননা মুসলমানগণ কিছুতেই মেনে নিতে পারে না। এ সময় বক্তারা বলেন ফ্রান্স সরকার নবীর বিরুদ্ধে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের মাধ্যমে বিশ্বমুসলিমকে উস্কে দিয়ে ধর্মযুদ্ধ বাধানোর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। বক্তারা আরো বলেন, ফ্রান্স সরকারকে অবিলম্বে এ ধৃষ্টতাপূর্ণ ব্যঙ্গচিত্র প্রচারনা বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় ফ্রান্সের বিরুদ্ধে সারাবিশ্বে প্রতিবাদের দাবানল ছড়িয়ে পরবে এবং নবী প্রেমিকরা ফ্রান্সের পণ্যবর্জন করতে বাধ্য হবে। তারা বিশ্বশান্তির দূত হযরত মহানবী (সা.) এর অবমাননা বন্ধে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানোর জন্য মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানান। সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, ফ্রান্স সরকারের এমন কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে ফ্রান্স কে বয়কট সহ দেশটির সকল প্রকার পণ্য বর্জন করার জন্য সরকারের কাছে আইন প্রনয়ন করার দাবী জানিয়েছেন। সংবাদটি পড়া হয়েছে ২৮৬ বার আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন প্লাস্টিকের ব্যাগ-প্যানা পরিবেশ দূষন সহ হাজার বছরের অভিশাপে পৌছে দিচ্ছে দেশকে মোংলা বন্দরের নাব্যতা রক্ষা করতে না পারলে সকল উন্নয়ন-আধুনিকতা ভেস্তে যাবে