কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ীর বিতর্কিত এসআই অভিজিতের বদলী ঠেকানোর তদবীর মিশন ব্যর্থ

প্রকাশিত: ৩:৪১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২০ | আপডেট: ৩:৪১:অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২০

কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ীর আলোচিত ও বহুঅপকর্মের হোতা এস আই অভিজিত রায় এর বদলী আদেশ স্থগিতের তদবীর মিশন ব্যার্থ হয়েছে। শত চেষ্টা করেও বদলী ঠেকাতে পারেননি তিনি। বৃহস্পতিবার কর্তৃপক্ষ তাকে বদলী চুড়ান্ত করেছে বলে জানা গেছে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

জানাযায়, চলতি বছরের প্রথম দিকে এস আই অভিজিৎ বরিশাল জেলার একটি থানা থেকে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ীতে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে একের পর এক নানা অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়তে থাকেন। ঘুষ-দূর্নীতিতে আল্পদিনে বেশ আলোচিত হয়ে ওঠেন। তার বিরুদ্ধে অনৈতিক ওই সব কর্মকান্ডের তথ্যবহুল সংবাদ বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হতে থাকে।

 

আর বেরিয়ে আসতে থাকে ঘুষ বাণিজ্যের নানা কাহিনী। সংবাদ প্রকাশের পর তার অনৈতিক বিষয়টি আমলে এনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কয়েক দফায় তদন্ত করে চলতি মাসের ১ তারিখে তাকে বদলীর নোটীশ দেয়। কিন্ত নোটিশ পেয়ে তিনি কপিলমুনিতে থাকা জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন, শুরু করেন লবিং। তবে শেষমেষ তার সকল প্রচেষ্টা ব্যার্থ হওয়ায় তাকে দিঘলিয়া থানায় চলে যেতে হয়েছে। অভিজিতের বদলীর খবরটি চুড়ান্ত হওয়ায় ভূক্তভোগীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি আসে।

কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, অভিজিৎ মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে ঘুষ, দূর্নীতি, খামখেয়ালীপনা, অসাদাচারণ ও ক্ষমতার দাপট দেখাতে থাকেন। সবমিলে এলাকার মানুষের কাছে হয়ে ওঠেন এক ভংয়কর পুলিশ কর্মকর্তা। তার কাছে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত, হয়রানী, ও নাজেহালের শিকার হন শ্রীরামপুর গ্রামের শরীফা বেগম, ব্যবসায়ী অরুপ দত্ত, ফাঁড়ীর সন্নিকটে এক কস্মেটিক ব্যবসায়ী, কাকড়া ব্যবসায়ী সালাম, কানাইদিয়া গ্রামের অপু-দিপু, চা দোকানী রহিম, বহু মোটর সাইকেল মালিকসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অসংখ্য মানুষ।

অভিযোগ রয়েছে, কর্তব্যরত সময়ে টাকা ছাড়া কারো কথা আমলে আনেনি অভিজিৎ। টাকা দিলে কাজ হবে নইলে নয়। ন্যায় অন্যায় বাচ-বিচার না করে যা ইচ্ছে তাই করে গেছেন তিনি। সাধারণ মানুষের সাথে প্রায় সময় নোংরা ভাষার কথা বলতেন তিনি।

কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ী ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সঞ্জয় দাশ বলেন, ‘বুধবার তার সিসি দেওয়া হয়েছে, দু’ এক দিনের মধ্যে তিনি দিঘলিয়া থানায় যোগ দেবেন।’


আপনার মতামত লিখুন :

এইচএমএ হাশেম। নিজস্ব প্রতিবেদক। কপিলমুনি, খুলনা