অবহেলিত জনপদের গ্রাম ঝাঁপা: মুজিব বর্ষের শ্লোগান ও অঙ্গিকার “সড়ক হবে সংস্কার” প্রকাশিত: ৩:২২ অপরাহ্ণ, জুন ২৪, ২০২০ | আপডেট: ৩:২২:অপরাহ্ণ, জুন ২৪, ২০২০ সরকারের সড়ক ও জনপদ বিভাগের মুজিব বর্ষের শ্লোগান ও অঙ্গীকার “সড়ক হবে সংস্কার”। এ কথাটির বাস্তব রুপ পাবে কি ব-দ্বীপ বিশিষ্ঠ ঝাঁপা গ্রামের অবহেলিত জনপদের মানুষ। জানা যায়, যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ৯নং ঝাঁপা ইউনিয়নের প্রায় অধৈকাংশ জুড়ে আছে ব-দ্বীপ বিশিষ্ঠ ঝাঁপা গ্রামটি। গ্রামে প্রায় ২০ হাজার লোকের বসবাস। এ গ্রামে রয়েছে ১টি পুলিশ ফাঁড়ি, ৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি মাদ্রাসা, ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি হাট বাজার। এ ছাড়া গ্রামের সাথে সংযুক্ত রয়েছে দুটি ভাসমান সেতু। বৃহত্তর এই গ্রামে রয়েছে প্রায় ২০ কিলোমিটার মাটির রাস্তা, ৬ কিলোমিটার পাঁকা রাস্তা ও ৩ কিলোমিটার মত ভাঙ্গাচুরা ইটের রাস্তা। এ ছাড়াও রয়েছে ছোটখাটো অনেক গুলো মাটির রাস্তা। এদিকে অবহেলিত ঝাঁপা গ্রামের মানুষের যাতায়াতে র্দূভোগকৃত রাস্তা গুলো হলো ঝাঁপা সিনিয়র মাদ্রাসা হতে মহিলা মাদ্রাসা পর্যন্ত ২ কি:মি: ভাঙ্গাচুরা ইটের রাস্তা, আবাসন প্রকল্প হতে বঙ্গ বন্ধু ভাসমান সেতু পর্যন্ত ৬ কি:মি: মাটির রাস্তা, সিনিয়র মাদ্রাসা হতে কোমলপুর বাজার পর্যন্ত ২ কি:মি: ভাঙ্গাচরা রাস্তা, সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দীনের বাড়ি হতে মড়গাং বাওড় পর্যন্ত প্রায় ৩কি:মি: মাটির রাস্তা, ঝাঁপা বাগাডাঙ্গী নিজামের বাড়ি হতে জেলা প্রশাসক ভাসমান সেতু পর্যন্ত ৪কি:মি: মাটির রাস্তা, ইনার বাঁশতলা হতে উত্তরপাড়া শান্তের খেয়াঘাট পর্যন্ত প্রায় ৩কি:মি: মাটির রাস্তা, পূর্বপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে একদিকে জেলা প্রশাসক ভাসমান সেতু পর্যন্ত অপরদিকে বঙ্গ বন্ধু ভাসমান সেতু পর্যন্ত ৩ কি:মি: মাটির রাস্তা। এছাড়াও রয়েছে ছোট খাটো অনেক মাটির রাস্তা। এদিকে বর্ষার মৌসুমে হাল্কা বৃষ্টি হতে না হতেই অবহেলিত এই জনপদের মাটির রাস্তায় হাটু সমান কাঁদায় পরিনত হয়ে যায়। ভারী বর্ষনে রাস্তায় বড় বড় গর্তে পরিনত হয়। ফলে বর্ষার মৌসুমে চরম র্দূভোগ পোহাতে হয় এ গ্রামে বসবাসকারী ২০ হাজার মানুষের। স্কুলে যেতে র্দুভোগে পড়ে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা। দ্রুত যাতায়াতের জন্য বাড়ি থেকে কোন যানবাহন বের করা যায়না। ফলে মুমুর্ষ রুগীদের দ্রুত চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য যাতায়াতে চরম বিপাকে পড়তে হয়। অপরদিকে অবহেলিত জনপদে বসবাসকারী ভুক্তভোগী মানুষের সাথে কথা হলে তাদের দূর্ভোগ ও সমস্যার কথা প্রতিনিধির সামনে তুলে ধরেন। গ্রামের পূর্বপাড়ার মাষ্টার আজিজুর রহমান বলেন, বর্ষার সময় বড় সমস্যা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। দেখা গেছে তারা পায়ে হেঁটে স্কলে যাওয়ার পথিমধ্যে কাঁদায় পা পিছলে পড়ে কাঁদামাটি মেখে বই নষ্ট করে বাড়ি ফিরে এসেছে। যাতায়াতের অসুবিধার কারনে বর্ষার মৌসুমে স্কুলে ছাত্র/ছাত্রীর উপস্থিত হার অনেক কম থাকে। কথা হয় উত্তর পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইব্রাহিম হোসেনের সাথে, তিনি প্রতিনিধিকে বলেন, আমি প্রায় ২০ বছর ধরে এখানে শিক্ষকতা করে আসছি। কিন্তু র্দূভাগ্যের বিষয় প্রতি বছর বর্ষার মৌসুমে আমিসহ আমার সকল শিক্ষক ৩/৪কি:মি: মাটির রাস্তা দিয়ে কাঁদার মধ্যে দিয়ে হেটে প্রতিষ্ঠানে আসতে হয়। এ সময় ছাত্র/ছাত্রীর উপস্থিতির হার অনেক কম থাকে। আমি আশা করি অচিরেই এই অবহেলিত জনপদের গ্রামটির প্রধান প্রধান মাটির রাস্তা গুলো পাঁকা করণ করবেন আমাদের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্রাচার্য্য মহোদয়। এ বিষয়ে কথা হয় সাবেক চেয়ারম্যান ঝাঁপা গ্রামের আলাউদ্দীন আহম্মেদ বলেন, দীর্ঘকালের অবহেলিত জনপদের গ্রামের মানুষের র্দূভোগ লাঘব করতে আমাদের প্রতিমন্ত্রী মহোদয় যথেষ্ঠ। তিনি সদয় হলেই অচিরে জনগনের র্দূভোগ কেটে যাবে এটাই আমি আশা করছি। বর্তমান চেয়ারম্যান সামছুল হক মন্টু প্রতিনিধিকে বলেন, আমি যতদুর পারছি ছোটখাট কিছু রাস্তায় ইটের কাজ করেছি। আর বর্তমান সরকার জনবান্ধব সরকার। জনগনের র্দূভোগ লাঘব করতে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে সরকার। যেহেতু আমাদের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী রয়েছে, সেহেতু তিনিই অচিইে অবহেলিত ঝাঁপা গ্রামবাসীর সুদিন ফিরে আনবে বলে আমি আশা করছি। সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫৮৭ বার আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন মণিরামপুরে নিয়ন্ত্রণহীন কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় পিতা-পুত্র, দাদা-নাতিসহ ৫জন নিহত শোককে শক্তিতে রুপান্তরিত করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে: প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য