আশাশুনিতে আ’লীগ নেতাকে হত্যাকারীদের মিথ্যে মামলার প্রতিকারে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ১২:৪৬ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০২০ | আপডেট: ১২:৪৬:পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশ্য দিবালোকে সন্ত্রাসী স্টাইলে পিটিয়ে আওয়ামীলীগ নেতাকে হত্যাকারীদের উল্টো মিথ্যে মামলা, ষড়যন্ত্র ও হুমকী ধামকীর প্রতিকারের দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন নিহতের স্ত্রী শেফালী খাতুন। শনিবার সকালে আশাশুনি উপজেলার গদাইপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন নিহত সরবত মোল্যার স্ত্রী শেফালী খাতুন।
 
লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে শেফালী খাতুন জানান, ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরবত মোল্যা হত্যা মামলার ১নং আসামী খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান, রাজাকার পুত্র আলহাজ¦ শাহনেওয়াজ ডালিমের সাথে ১০ টাকা কেজি দরের চাল দলীয় লোকদের দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান, তার ভাইয়েরাসহ তার বাহিনীর সদস্যরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত গয়ে পরিকল্পিত ভাবে নির্দয়ভাবে মারপিট করে সরবত মোল্যাকে রক্তাক্ত জখম করে। তার স্ত্রী ঠেকাতে গেলে তাকেও নির্দয়ভাবে জখম করা হয়। এবং একে একে নুরুজ্জামান মুকুল, আছাদুজ্জামান, বারীক মোল্যা, নরীম মোল্যা, আলাউদ্দিন মোল্যা, আকতার মোল্যা, রব্বানী, মজিদ মোল্যাদের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে আহত ও ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করে। আহতদের সাতক্ষীরা হাসপাতালে ভর্তির পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় সরবত ও শেফালীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাতপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সরবত ইন্তেকাল করেন। নিহতের পুত্র সবুজ হোসেন মোল্যা বাদী হয়ে চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিমসহ ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
 
পুলিশ কয়েকজন আসামীকে গ্রেফতার করেন। নিহতের ও আহতদের পরিবার যখন হাসপাতালে স্বজনদের প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত, কেউ নিহতের লাশ নিয়ে শোকে সন্তপ্ত, তখন আসামী পক্ষ ষড়যন্ত্র ও হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে মিথ্যা মামলা দায়েরের চেষ্টা তদবীর চালিয়ে একেএকে ২টি মিথ্যা মামলা দায়ের ও আরও একটি মামলা করতে যোগাযোগ করে চলেছে। শেফালী খাতুন বলেন, চেয়ার‌্যান নিজে এবং তার ভাইয়েরা ও সহযোগিরা আমার স্বামীকে প্রকাশ্যে হত্যা করেছে। রোজাদার স্বামী ও আমি হাতপা ধরেছি, প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছি, কিন্তু শোনেনি। বরং সরবতের বংশ রাখবো না, বংশ ধ্বংস করে দেব। এলাকায় আমি একাই মাতব্বরী করবো, অন্য কোন মাতব্বর থাকবেনা।
 
১০ বছর শাসন করেছি, এখানে আমারই শাসন চলবে। এমন হুংকার দিয়ে নৃশংসভাবে হামলা চালায়। মামলা দায়েরের পর মামলার বাদীসহ অন্যদের প্রকাশ্যে ও মোবাইলে হুমকী দিচ্ছে। মামলা কারীদের বাঁচতে দেবনা, ১৫ দিনের মধ্যে মামলা খেয়ে ফেলবো, বংশ নির্বংশ করে দেব বলে হুংকার দিয়ে বেড়াচ্ছে দাবী করে শেফালী খাতুন আক্ষেপ করে বলেন, আমার স্বামী নিহত হয়েছেন, আমরা আহত হয়েছি ও ঘরবাড়ি ভাংচুর করেছে। তারপরও আমাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদেরকে ঘরছাড়া করা হচ্ছে।
 
আমরা অসহায় মানুষ, আমাদের জীবন কেড়ে নিয়েছে, তারপরও আমাদরেকে মামলার আসামী বানিয়ে পুলিশের ভয়ে ঘরছাড়া করা হচ্ছে। প্রাণ নিল, ঘরছাড়া করলো, পরিবারের ছোট-বৃদ্ধ-নারী সদস্যদের মুখে দুমুটো ভাত তুলে দেওয়ার মত সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে, আর কি বাকী আছে জানিনা। তিনি এহেন অত্যাচার, নির্যাতন, হয়রানী থেকে বাঁচতে প্রশাসন, জন প্রতিনিধি, আইন প্রয়াগকারী সংস্থা ও সর্বোপরি আদালতের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। 

সুন্দরবনটাইমস.কম/ডেক্স

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক