কেশবপুরে ঘাসমারা ওষুধ প্রয়োগে কৃষকের ধান পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ কেশবপুরে ঘাসমারা ওষুধ প্রয়োগে কৃষকের ধান পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ প্রকাশিত: ৩:৩৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৪, ২০২০ | আপডেট: ৩:৩৬:অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৪, ২০২০ মশিয়ার রহমান, কেশবপুর (যশোর): যশোরের কেশবপুর পূর্বশত্রুতার জের ধরে এক হতদরিদ্র কৃষকের ২৫ শতক জমির বোরো ধান ঘাসমারা প্রয়োগে নষ্ট করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওই কৃষকের ৩০ হাজার টাকার ধান পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার কৃষক কাত্তিক চন্দ্র দাস বাদি হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেকসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে কেশবপুর থানায় একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জাহানপুর গ্রামের পূর্ণ দাসের ছেলে দিনমজুর কাত্তিক চন্দ্র দাস চলতি বোরো মৌসুমে জাহানপুর দাসপাড়া বিলে ২৫ শতক জমিতে বোরো ধান রোপণ করেন। সকল পরিচর্যা শেষে ধানে শীষ বের হওয়ার পর কৃষক যখন ধান ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখছিলেন ঠিক তখনই গত ১২ এপ্রিল রাতে পূর্বশত্রুতার জের ধরে একই গ্রামের রণজিৎ দাস, অমল দাস ও গণেশ দাস যোগসাজশে তার ধান ক্ষেতে ঘাসমারা ওষুধ প্রয়োগ করে। ১৪ এপ্রিল সকালে কৃষক কাত্তিক চন্দ্র দাস ধান ক্ষেতে গিয়ে দেখেন তার সমস্ত ক্ষেতের ধান পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এ দৃশ্য দেখে কৃষক কাত্তিক চন্দ্র দাস কান্নায় ভেঙে পড়েন। ঘাসমারা প্রয়োগে তিনি ৩০ হাজার টাকার ক্ষতির সন্মুখিন হয়েছেন বলে অভিযোগ। কাত্তিক দাসের স্ত্রী রাজুবালা জানান, তার স্বামী পরের জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ করেছিল। ওই জমির ধানের ভাত খেয়ে সংসারের ৮ জন মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে করে থাকে। সমস্ত জমির ধান পুড়ে নষ্ট হয়ে যাওয়া তাদের না খেয়ে থাকতে হবে। এ ব্যাপারে ক্ষেতে ঘাসমারা ওষুধ প্রয়োগের কথা অস্বীকার করে অমল দাস বলেন, এক মাস আগে আমার সাথে তাদের ঝগড়াঝাটি হয়েছিল। এ শত্রুতার জের ধরে সে আমাকে দোষারোপ করছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাদেব চন্দ্র সানা জানান, যেহেতু ধানে শীষ বের হয়ে গেছে। এখন সংশোধনের কোন সুযোগ নেই। কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জসিম উদ্দীন বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সুন্দরবনটাইমস.কম/নিজস্ব প্রতিবেদক সংবাদটি পড়া হয়েছে ৫৫৩ বার আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন কেশবপুরে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ: পিতা-পুত্র সহ নিহত ৩ আজ মধু কবির ১৯৯তম জন্মবার্ষিকী, সাগরদাঁড়িতে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা শুরু