কেশবপুরে হত্যা মামলায় আটক ইদ্রিসের স্বীকারোক্তি: ছোরা উদ্ধার

প্রকাশিত: ১:৫৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০২০ | আপডেট: ১:৫৮:অপরাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০২০

মশিয়ার রহমান, কেশবপুর (যশোর):
যশোরের কেশবপুরে বেকারি শ্রমিক শরিফুল হত্যা মামলায় আটক ইদ্রিস আলী মঙ্গলবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আটক ইদ্রিস আলী উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের মোলাম সরদারের ছেলে। পুর্বশত্রতার জের ধরে একই গ্রামের শরিফুল ইসলামকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন বলে ইদ্রিস আলী আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। হত্যায় ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মজ্ঞুরুল ইসলাম আসামী ইদ্রিস আলীকে জবানবন্দি গ্রহণ শেষে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

আসামী ইদ্রিস আলী আদালতে স্বীকারোক্তিতে জানান, সাতবাড়িয়া গ্রামের এমদাদুল হকের ছেলে শরিফুল ইসলামের সাথে তাঁর ৪ বছরের সম্পর্ক ছিল। সাতবাড়িয়া বাজারে বিভিন্ন সময়ে আড্ডা দিতেন তারা। ১ বছর আগে শরিফুল ইসলাম তাঁর নিকট থেকে সাত হাজার টাকা ধার নেন।কিন্তু ফেরৎ দেননি। শরিফুল ইসলামের কেশবপুরের একটি ইট ভাটার পাশের এক নারীর সাথে পরকিয়া সম্পর্ক ছিল। ওই নারী তার কাছে প্রায় আসতেন। এর আগে বেশ কয়েকবার ইদ্রিস আলী ওই নারীকে শরিফুলের কাছে নিয়ে এসেছিলেন। শরিফুল ধার নেয়া টাকা ফেরৎ না দেয়ায ইদ্রিস আলীর মনে মনে রাগ ছিল। গত ১৯ মার্চ রাতে শরিফুল ওই নারীকে এনে তার একটি ঘর লাগবে বলে ইদ্রিস আলীকে জানান। শেষমেশ ঘর না পেয়ে তারা একটি খেজুর বাগানে গিয়ে বসেন। এ সময় ইদ্রিস আলী কোমল পানীয় টাইগারের বোতলে ঘুমের ওষুদ মিশিয়ে তাদের হাতে দিয়ে দেন। পরে একটি ছোরা নিয়ে তিনি শরিফুলের কাছে যায়। এরপর ওই ছোরা শরিফুলের শরীরে পরপর তিনটি আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত মনে করে মোবাইল ফোন নিয়ে দৌড়ে সাতবাড়িয়া বাজারে চলে যায়। বাজারে গিয়ে মসজিদের পুকুরে ছোরা ও মোবাইল ফোন ফেলে ওই স্থান ত্যাগ করেন ইদ্রিস আলী। ২০ মার্চ সকালে কেশবপুর উপজেলার সাতবাড়িয়া পাচানি পাড়া থেকে শরিফুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের পিতা এমদাদুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামী করে কেশবপুর থানায় মামলা দয়ের করেন যার নং- ১৩। হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২১ মার্চ রাতে ইদ্রিস আলী, একই গ্রামের শামসুর রহমানের ছেলে মোরশেদ আলম ও মকছেদ আলী মোল্লার ছেলে আবদুস সবুরকে থানা পুলিশ আটক করে।

এব্যাপারে বুধবার কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জসীম উদ্দীন বলেন, শরিফুলের হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে তাদেরকে ২১ মার্চ রাতে আটক করা হয়। ২২ মার্চ পাঁচ দিনের রিম্যান্ড চেয়ে আবেদন করে আটককৃতদেরকে যশোর আদালতে পাঠানো হয়। বিজ্ঞ আদালত ২ দিন করে রিম্যান্ড মুজ্ঞুর করেন। আটককৃতদের ব্যাপক জ্ঞিাসাবাদের একপর্যায়ে আসামী ইদ্রিস আলী হত্যার ঘটনার বিষয় স্বীকার করেন এবং তাঁর স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে শরিফুলকে হত্যায় ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার বিকালে যশোরের বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মজ্ঞুরুল ইসলামের নিকট আসামী ইদ্রিস আলী ১৬৪ ধারা মতে ঘটনার সত্যতা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। মামলাটি আরও তদন্তের স্বার্থে কিছু তথ্য এড়িয়ে যান ওসি।

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/নিজস্ব প্রতিবেদক

 


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক