কলারোয়ার রাজপুর প্রাইমারি স্কুল ক্যাচমেন্টে চান্দা গ্রামকে অন্তর্ভূক্তির দাবিতে মানববন্ধন প্রকাশিত: ১০:৪১ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৫, ২০২০ | আপডেট: ১০:৪১:অপরাহ্ণ, মার্চ ১৫, ২০২০ নিজস্ব প্রতিবেদক, কলারোয়া(সাতক্ষীরা): কলারোয়ার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী রাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্যাচমেন্ট আওতায় চান্দা গ্রামটি অন্তর্ভূক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসি। একই সাথে ওই স্কুলের দপ্তরী নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তারা। স্কুলে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের সংখ্যার হিসেবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি ম্যাপ করা হয়ে থাকে মূলত সেটাকেই ক্যাচমেন্ট বলা হয়। রবিবার চান্দা গ্রামে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, অভিভাবকসহ এলাকার শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ গ্রহণ করেন। মানববন্ধনে উপস্থিতিরা বলেন- বিদ্যালয়টি ১৯৫৭ সালে স্থাপিত হয় ১১নং চান্দা মৌজায়। কিন্তু ওই বিদ্যালয়টি গ্রাম স্কুল ক্যাচমেন্ট এর আওতাভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ওই স্কুলে দপ্তরী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। ক্যাচমেন্ট এরিয়ার মধ্যে না থাকায় সেখানে চান্দা গ্রাম থেকে কেউ দরখাস্ত করতে পারবেন না। অথচ চান্দা গ্রামের ৬০/৬৫জন ছাত্র-ছাত্রী ওই প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত। এছাড়া ম্যানেজিং কমিটিতেও বর্তমানে চান্দা গ্রামের ৩জন সদস্য রয়েছেন। এলাকাবাসী অতিদ্রুত চান্দা গ্রামটি ৫০নং রাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকার অন্তর্ভুক্ত করার দাবী জানান। এর আগে ব্যানার হাতে এলাকায় সংক্ষিপ্ত মৌন মিছিলও করেন তারা। এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোজাফফর উদ্দীন জানান- ‘১৯৯৯ সালের আগে ওই স্কুলটির ক্যাচমেন্ট ম্যাপ করা হয়েছিলো। সেসময় বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা নিয়ে স্কুল ম্যাপ এরিয়া করা হয়েছিলো।ম্যাপের আওতাকে মূলত ক্যাচমেন্ট বলা হয়।’ তিঁনি আরো জানান- ‘গত ১২মার্চ চান্দা গ্রামকে রাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এরিয়ার আওতায় আনার দাবিতে উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়ের নিকট দরখাস্ত করেন স্থানীয়রা। উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় সেটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে প্রেরণ করলে তাৎক্ষনিক আমি সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও পার্শ্ববর্তী দু’জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছি। কমিটির প্রতিবেদন পেলেই সেটা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ডিপিও) স্যারের কাছে প্রেরণ করা হবে।’ ‘বর্তমানে এটি প্রক্রিয়াধীন। আশা করছি অতিদ্রুতই ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় বিষয়টির সুষ্ঠু সুরহা হবে’- বলেন শিক্ষা অফিসার মোজাফফর উদ্দীন। সুন্দরবনটাইমস.কম/ডেক্স সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩৪৫ বার আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন সাতক্ষীরায় নিজ পুত্রবুধকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তি গ্রেফতার ভারতে পাচারকালে চারটি স্বর্ণের বারসহ এক চোরাকারবারি আটক