নতুন বছরের শুরুতে কলারোয়ায় ‘গাইড বই’ বাণিজ্যের উৎসব ! প্রকাশিত: ৯:৫১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০২০ | আপডেট: ৯:৫১:অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০২০ নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন বছরের শুরুতে কলারোয়ায় গাইড বই বাণিজ্যের উৎসব শুরু হয়েছে। উপজেলার স্কুল ও মাদ্রাসাগুলোয় নতুন বছরের শুরুতেই গাইড বই উৎসবে মেতে উঠেছে শিক্ষক ও গাইড বই প্রকাশনী কোম্পানীগুলো। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন বছরের শুরুতে বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসার সঙ্গে অলিখিত চুক্তি করছে গাইড কোম্পানিগুলো। স্কুল ভেদে ২০/৩০ হাজার থেকে ৫০/৮০ হাজার টাকার চুক্তি হয়েছে অসাধু শিক্ষকদের সঙ্গে। প্রতি বছরের মত এবারও জানুয়ারী মাসের শুরুতে উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অলিখিত এ চুক্তি হয়েছে মর্মে সুত্র দাবী করেছে। অনেক প্রতিষ্ঠান চুক্তির অর্ধেক টাকা অগ্রিম নিয়েছে। এ ঘটনাটি স্থানীয় অভিভাবকদের ভাবিয়ে তুলেছে রিতিমত। তারা মনে করছেন, জানুয়ারি মাস থেকেই নতুন বইয়ের সঙ্গে নিষিদ্ধ গাইড বইও শিক্ষার্থীদের কিনতে বাধ্য করা হতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় একটি শক্তিশালী গাইড বই বিক্রির সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। যার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ‘কতিপয়’ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও বই ব্যবসায়ীরা। ইতোমধ্যে উপজেলার অধিকাংশ লাইব্রেরিতে গাইড মজুদ করা হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে প্রশাসনের কার্যকর কোনো ভূমিকা এখনো চোখে পড়েনি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ জানান, নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের সর্ম্পকে মাধ্যমিক অফিস অবগত নন। কেউ এ ধরণের অবৈধ গাইড বই প্রকাশনীর সাথে চুক্তি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অন্যদিকে ভিন্ন ভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ২০২০ শিক্ষাবর্ষে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি নোট-গাইড ও ব্যাকরণসহ অন্যান্য সহায়ক বই বিক্রির অলিখিত চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে স্কুলগুলোর সঙ্গে- জননী প্রকাশনী, লেকচার, হাসান বুক হাউজ, জুপিটার, পপি, সংসদ ও মাদ্রাসাগুলোর সঙ্গে আল ফাতাহ, বারাকাহ সহ বিভিন্ন বাহারী কোম্পানি চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। কলারোয়া পৌর সদরের তুলসীডাঙ্গা গ্রামের রণজিৎ কুমার ঘোষ জানান, শুধুমাত্র অতিরিক্ত কিছু অর্থ উপার্জনের জন্য আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যত নষ্ট করে দেয়া হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত ‘পাঠ্যবই’ ঠিকমত না পড়িয়ে শিক্ষার্থীদের গাইড বইয়ের উপর নির্ভরশীল করা হচ্ছে। আমরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর হস্তক্ষপে কামনা করছি। কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ জানান, গাইড বই বিক্রি বন্ধে উপজেলায় কঠোর নজরদারি রাখা হবে। একই সঙ্গে অবৈধ লেনদেনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সুন্দরবনটাইমস.কম/ডেক্স সংবাদটি পড়া হয়েছে ৩০০ বার আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন সাতক্ষীরায় নিজ পুত্রবুধকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তি গ্রেফতার ভারতে পাচারকালে চারটি স্বর্ণের বারসহ এক চোরাকারবারি আটক