কপিলমুনিতে বহুলালোচিত খাস জমিতে প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান প্রকাশিত: ৬:০৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯ | আপডেট: ৬:০৩:অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯ নিজস্ব প্রতিবেদক, কপিলমুনি(খুলনা): কপিলমুনিতে অবৈধভাবে পাকা পিলার ও কাটা তারের ঘেরাবেড়া দিয়ে সরকারের মুল্যবান খাস জমি দখল করার অভিযোগে এলাকার প্রভাবশালী ইসলামের মইনুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংবাদপত্রে ছবি সম্বলিত তথ্যবহুল খবর প্রকাশের পর মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। স্থানীয় কপিলমুনি ভুমি অফিসের ইউএলও মোঃ জাকির হোসেন অভিযানের নের্তৃত্ব দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ভুমি অফিসের সহকারী ভুমি কর্মকর্তা মোঃ হাসমত আলী, কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সঞ্জয় দাশ সহ সঙ্গীয় ফোর্স। জানাগেছে, খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি বাজারের কপোতাক্ষ সংলগ্ন প্রভাবশালী মইনুল ইসলাম কর্তৃক দখল হওয়া ঐ খাস জমির বাজার মূল্য প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। যার দখলকে ঘিরে এলাকার সর্বত্র মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্ট করে। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকরা বিভিন্ন সংবাদপত্রে খবর প্রকাশ করলে প্রশাসনের টনক নড়ে। এমতাবস্থায় মঙ্গলবার সকালে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ দখলকৃত খাস সম্পত্তির দখল অবমুক্ত করা হয়। প্রসংগত, কপিলমুনি সদরের পুরাতন সিনেমা হল ও কপোতাক্ষ নদী সংলগ্ন কাঠগোলায় অবস্থিত ১৬ শতাংশ জমি ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে খরিদ করেন এলাকার প্রভাবশালী বেকারী মালিক মঈনুল ইসলাম। এরপর তিনি লোকাল সার্ভেয়ার দ্বারা সীমানা নির্ধারণ করে ক্রয়কৃত ১৬ শতক জমির দখল সীমানা চিহ্নিত করে খুটা বসান। এ সময় তার সীমানার পাশেই কপোতাক্ষ নদীর চরভরাটি প্রায় ২০ লক্ষ টাকা মূল্যের প্রায় ৯ শতাংশ খাস জমির উপর কুনজর পড়ে মঈনুলের। এক সময় রাতের আঁধারে মঈনুল অর্ধশতাধিক শ্রমিক নিয়ে খাস জমিসহ সিমেন্টের পিলার ও কাটা তার দিয়ে ঘিরে দখলে নেন। পরদিন সকালে এলাকার মানুষ এ ঘটনা দেখে হতবাক হন এবং বিস্ময় প্রকাশ করেন। যা সর্বত্র মানুষের মাঝে সৃষ্টি করে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার। এ বিষয়টি বিভিন্ন সংবাদপত্রেও ফলাও করে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। টনক নড়ে সংশ্লিষ্ট ভুমি প্রশাসনের। সুন্দরবনটাইমস.কম/এইচ এম এ হাশেম সংবাদটি পড়া হয়েছে ১৫৪ বার আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন কপিলমুনিতে শিশু সন্তানকে খেলতে পাঠিয়ে মায়ের আত্মহত্যা! কপিলমুনিতে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীদের নামের তালিকা টানিয়েছে থানা পুলিশ