জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক অফিস চত্বরে প্রতীকী অবস্থান

প্রকাশিত: ৫:৫৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১২, ২০২১ | আপডেট: ৫:৫৪:অপরাহ্ণ, আগস্ট ১২, ২০২১

জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে সাতক্ষীরায় পঁচাধান নিয়ে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ভুক্তভোগী প্রান্তিক চাষীরা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

কৃষকদের দাবির প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাহমুদুর রহমান কৃষকদের এধরনের ক্ষতিতে দু:খ প্রকাশ করে বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয় অবগত হয়েছেন। দ্রুত সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক সুষ্ঠ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে তিন গ্রামের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, কলারোয়া পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, সেচ কমিটির সভাপতি আরিজুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, নুর ইসলাম, রত্না খাতুন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, কলারোয়া উপজেলার মুরারীকাটি, কুমারনল ও কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দারা কৃষি কাজের উপর নির্ভর করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করি। বিগত ২১ বছর যাবত সেখানকার বিলে জলাবদ্ধতা থাকায় তাদের অর্ধহারে-অনাহারে দিন কাটে। এ পরিস্থিতিতে তিন গ্রামের সমন্বয়ে ধান চাষের জন্য একটি সেচ কমিটি গঠন করা হয়।

 

সেই কমিটির মাধ্যমে বিদ্যুতের শক্তিশালী মিটার ও পাম্প স্থাপন করে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে পানি নিস্কাশন করে ধান চাষের উপযোগী করা হয়। চলতি মৌসুসে আড়াই হাজার বিঘা জমি স্ব-স্ব কৃষকরা ধান চাষ করেন।

বর্তমানে ওই ধানের শীষ বরনীয় অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু সেখানে কাল হয়ে দাড়িয়েছে উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টুর জবর দখল করা একটি মৎস্য ঘের। অবৈধ মৎস্য ঘেরের কারনে সেখানকার আড়াই হাজার বিঘা জমির ফলন্ত ধান পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রায় ২ হাজার প্রান্তিক কৃষক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

পথে বসেছে অনেকেই। পরিকল্পিতভাবে একক স্বার্থে ২ হাজার কৃষকের পেটে তিনি লাথি মেরেছেন।

বক্তারা এ সময় অবিলম্বে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং জলাবদ্ধতার নিরসনের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

 

 

এস/জি

 


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক। ডেক্স